বিলেতে বাড়ি কেনাবেচা:যেসব কারণে প্রপার্টি ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে (পর্ব-৭৫)

সাম্প্রতিককালে বিলেতে অনেক রেসিডেন্সিইয়াল প্রপার্টির বিক্রয় প্রক্রিয়া শুরু করার পর মাঝপথে অথবা শেষের দিকে এসে বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । 
বিলেতের অন্যতম এস্টেট এজেন্ট কোম্পানির জরিপ অনুযায়ী, ২০২২ সালের তৃতীয় কোয়াটারে বিলেতে মোট বিক্রয়যোগ্য প্রপার্টির ৪০% প্রপার্টির বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাদের মতে প্রধানত দুইটি কারণে এই প্রপার্টিসমূহ বিক্রয় হয়নি-

১) প্রপার্টি ক্রয় প্রক্রিয়া শুরু করার পর ৪১% বায়ার তাদের মত পরিবর্তন করেছে

২) ২৪% বায়ার প্রপার্টি ক্রয় এর জন্য মর্গেজ যোগাড় করতে পারেনি।

৩)  প্রপার্টি ক্রয় বিক্রয় প্রক্রিয়া ধীর গতির কারণে ১৮% সেলার তাদের প্রপার্টি মার্কেট থেকে উঠিয়ে নিয়েছে।

বিভিন্ন কারণে প্রপার্টি ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যেতে পারেঃ

  • বায়ার তাদের মত পরিবর্তন করলে
  • সেলার ভাল অফার পেলে (gazumping)
  • বায়ার প্রপার্টি ক্রয় এর জন্য মর্গেজ যোগাড় করতে না পারলে
  • কনভিয়েনসিং এর ধীর গতির কারণে
  • খারাপ প্রপার্টি সার্ভে
  • ল্যান্ডার এর নিকট হতে মর্গেজ অফার পাওয়ার পর বায়ার মর্গেজ অফার গ্রহণ না করলে

ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম পর মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেলে বায়ার এবং সেলার উভয়ই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এক গবেষণায় দেখা গেছে  বিক্রয় কার্যক্রম পর মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেলে সেলার ২৭০০ পাউন্ড থেকে ৫০০০ পাউন্ড পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হন।

বিভিন্ন উপায়ে প্রপার্টি ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যেতে রক্ষা পাওয়া যেতে পারেঃ 

  • বিলেতে বেশিরভাগ প্রপার্টি এস্টেট এজেন্টদের মাধ্যমে বেচাকেনা হয়। সেলার তার প্রপার্টি বিক্রয় এর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তার সলিসিটর এবং এস্টেট  এজেন্ট এর সাথে যোগাযোগ করে, বিক্রয় সংক্রান্ত যাবতীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে রাখবে।
  • অনেকসময় দেখা যায় কোন সম্ভাব্য ক্রেতা প্রপার্টি দেখার পর বিক্রেতার সাথে মৌখিক ভাবে প্রপার্টি কেনার চুক্তি করে থাকে। কিন্তু প্রপার্টি ক্রয় করার আগমুহূর্তে বিক্রেতা অন্য একজন ক্রেতার কাছ থেকে বেশি দামে প্রপার্টি অফার পেয়ে প্রথম ক্রেতার কাছ থেকে প্রপার্টি বিক্রয় এর চুক্তি ভঙ্গ করে। এই চুক্তি ভঙ্গকে বলা হয় Gazumping। এই Gazumping একটি বৈধ বিষয়। যেহেতু প্রথম ক্রেতা প্রপার্টি ক্রয় এর জন্য মৌখিক চুক্তি করেছে এবং যার কোন আইনগত ভিত্তি নেই।  Gazumping কিভাবে সামাল দিবেন: প্রপার্টি পছন্দ হবার পর এবং বিক্রেতার সাথে মৌখিক ভাবে চুক্তি হবার পর। বিক্রেতাকে অনুরোধ করুন তিনি যেন মার্কেট থেকে প্রপার্টি উঠিয়ে নেন এবং প্রপার্টির মার্কেটিং বন্ধ করে দেন বিক্রেতার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ এবং ভাল সম্পর্ক রাখুন। সলিসিটর এর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট তৈরি ও সংগ্রহ করে রাখুন ।যত দ্রুত সম্ভব ক্রেতা তার সলিসিটর এর মাধ্যমে বিক্রেতার সলিসিটর এর সাথে memorendum of sale করে নেওয়া। এর মাধ্যমে Gazumping সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
  • কোন সম্ভাব্য বায়ার প্রপার্টি দেখতে আসলে বায়ারকে মর্গেজ ইন প্রিন্সিপাল (MIP) দেখতে হবে। মর্গেজ ইন প্রিন্সিপালে বায়ার এর বেসিক পার্সোনাল ইনফরমেশন, ইনকাম এবং ল্যান্ডারের কাছ থেকে বায়ার সম্ভাব্য কি পরিমাণ মর্গেজ পেতে পারেন তা উল্লেখ থাকে। সাধারণত ৯০ দিন পর্যন্ত একটি মর্গেজ ইন প্রিন্সিপালের মেয়াদ থাকে।
  • মর্গেজ নিয়ে প্রপার্টি ক্রয় করার প্রক্রিয়া শুরু করার পূর্বে প্রথমেই একজন অভিজ্ঞ মর্গেজ অ্যাডভাইজর এর সাথে যোগাযোগ করুন। কারণ একজন অভিজ্ঞ মর্গেজ অ্যাডভাইজর আপনার সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আপনার জন্য সঠিক মর্গেজ নির্বাচন করবে।
  • বিভিন্ন কারণে কনভিয়েনসিং এর প্রক্রিয়া ধীর গতি হতে পারে। যেমন ডিভোর্স, probate, লিজহোল্ড প্রপার্টি, মর্গেজ ডকুমেন্ট প্রসেস  ইত্যাদি ।  এজন্য প্রপার্টি ক্রয় প্রক্রিয়া অভিজ্ঞ সলিসিটর এবং মর্গেজ অ্যাডভাইজর এর মাধ্যমে করতে হবে এবং তাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে।

প্রপার্টি মার্কেট এবং মর্গেজ সংক্রান্ত ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে নিচের ইমেইল অথবা টেলিফোন নাম্বারে যোগাযোগ করা যাবে।   

EMAIL: info@benecofinance.co.uk    

PHONE: +4402080502478

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top